অর্থসম্পদের বিনাশ আছে, কিন্তু জ্ঞান সম্পদ কখনাে বিনষ্ট হয় না ভাবসম্প্রসারণ
মূলভাব
পৃথিবীতে কিছু জিনিস আছে যা বিতরণ করলেও বৃদ্ধি পায়। সেগুলাের মধ্যে জ্ঞানসম্পদ হচ্ছে অন্যতম। এটি যতই দান করা হয় ততই বৃদ্ধি পায়।
সম্প্রসারিত ভাব
অর্থ এবং জ্ঞান দুটিই সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু এ দুই সম্পদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। অর্থ প্রকৃত সম্পদ নয়, জ্ঞানই হচ্ছে প্রকৃত সম্পদ। এর কোনাে তুলনা হয় না। জ্ঞানী ব্যক্তিরা দেশের সম্পদ। তারা দেশ ও জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনে। তারাই দেশ-জাতির পথপ্রদর্শক। যে জাতি জ্ঞানসম্পদে যত বেশি সমৃদ্ধ, সে জাতি বিশ্বে তত বেশি উন্নত। পক্ষান্তরে, যে জাতি জ্ঞানসম্পদে সমৃদ্ধ নয়, সে জাতি উন্নতিও করতে পারে না।
যিনি জ্ঞানী তার চিত্তসম্পদ অফুরন্ত। এ জ্ঞানরূপ সম্পদের ক্ষয় নেই, বিনাশ নেই। এ সম্পদ কখনাে কারাে কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া যায় না। কিন্তু তারপরও মানুষ অর্থসম্পদ অর্জনে জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করে। কেননা তাদের ধারণা অর্থসম্পদের বিনিময়ে জগতে প্রতিষ্ঠা পাওয়া সম্ভব। কিন্তু এ অর্থসম্পদ ক্ষণস্থায়ী। অর্থসম্পদ চিরদিন হাতে রাখা যায় না। আজ যে কোটিপতি কাল সে ভিখারি হতে পারে।
পৃথিবীতে এমন অনেক উদাহরণ আছে যারা বাদশাহ থেকে ফকির হয়ে গেছেন। তাছাড়া বিশাল ধনসম্পদের অধিকারী ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার সকল সম্পত্তি অন্যের হয়ে যায়, তার স্মৃতিও সবার মন থেকে বিস্মৃত হয়ে যায়। পক্ষান্তরে, জ্ঞানসম্পদের অধিকারী ব্যক্তি চিরকাল মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকেন। মুষ্টিমেয় অর্থলােভী ব্যক্তি ধনসম্পদের অধিকারী ব্যক্তিকে সম্মান করলেও অধিকাংশ মানুষ তাকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু জ্ঞানসম্পদ অর্জনকারী ব্যক্তিকে সম্মান করে সর্বযুগের, সর্বদেশের মানুষ।
তাই অর্থসম্পদে নয়, জ্ঞানসম্পদে মানুষ সমৃদ্ধ ব্যক্তিগণই দেশ ও জাতির প্রকৃত সম্পদ। আর এ জন্যে অর্থসম্পদের মাপকাঠিতে নয় জ্ঞানসম্পদের মাপকাঠিতে মানুষের মূল্যায়ন হওয়া উচিত।
অর্থ এবং জ্ঞান দুটিই সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু এ দুই সম্পদের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। অর্থ প্রকৃত সম্পদ নয়, জ্ঞানই হচ্ছে প্রকৃত সম্পদ। এর কোনাে তুলনা হয় না। জ্ঞানী ব্যক্তিরা দেশের সম্পদ। তারা দেশ ও জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনে। তারাই দেশ-জাতির পথপ্রদর্শক। যে জাতি জ্ঞানসম্পদে যত বেশি সমৃদ্ধ, সে জাতি বিশ্বে তত বেশি উন্নত। পক্ষান্তরে, যে জাতি জ্ঞানসম্পদে সমৃদ্ধ নয়, সে জাতি উন্নতিও করতে পারে না।
যিনি জ্ঞানী তার চিত্তসম্পদ অফুরন্ত। এ জ্ঞানরূপ সম্পদের ক্ষয় নেই, বিনাশ নেই। এ সম্পদ কখনাে কারাে কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া যায় না। কিন্তু তারপরও মানুষ অর্থসম্পদ অর্জনে জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করে। কেননা তাদের ধারণা অর্থসম্পদের বিনিময়ে জগতে প্রতিষ্ঠা পাওয়া সম্ভব। কিন্তু এ অর্থসম্পদ ক্ষণস্থায়ী। অর্থসম্পদ চিরদিন হাতে রাখা যায় না। আজ যে কোটিপতি কাল সে ভিখারি হতে পারে।
পৃথিবীতে এমন অনেক উদাহরণ আছে যারা বাদশাহ থেকে ফকির হয়ে গেছেন। তাছাড়া বিশাল ধনসম্পদের অধিকারী ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার সকল সম্পত্তি অন্যের হয়ে যায়, তার স্মৃতিও সবার মন থেকে বিস্মৃত হয়ে যায়। পক্ষান্তরে, জ্ঞানসম্পদের অধিকারী ব্যক্তি চিরকাল মানুষের মধ্যে বেঁচে থাকেন। মুষ্টিমেয় অর্থলােভী ব্যক্তি ধনসম্পদের অধিকারী ব্যক্তিকে সম্মান করলেও অধিকাংশ মানুষ তাকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু জ্ঞানসম্পদ অর্জনকারী ব্যক্তিকে সম্মান করে সর্বযুগের, সর্বদেশের মানুষ।
তাই অর্থসম্পদে নয়, জ্ঞানসম্পদে মানুষ সমৃদ্ধ ব্যক্তিগণই দেশ ও জাতির প্রকৃত সম্পদ। আর এ জন্যে অর্থসম্পদের মাপকাঠিতে নয় জ্ঞানসম্পদের মাপকাঠিতে মানুষের মূল্যায়ন হওয়া উচিত।
মন্তব্য
অর্থসম্পদ ক্ষণস্থায়ী। যেকোনাে সময় তা নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু জ্ঞানসম্পদ দীর্ঘস্থায়ী। কোনাে কালেই এর নিঃশেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
অর্থসম্পদ ক্ষণস্থায়ী। যেকোনাে সময় তা নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু জ্ঞানসম্পদ দীর্ঘস্থায়ী। কোনাে কালেই এর নিঃশেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
Keywords:
জ্ঞান শক্তি অর্জনই শিক্ষার উদ্দেশ্যঅর্থ সম্পদের বিনাশ আছে, কিন্তু জ্ঞান সম্পদ কখনো বিনষ্ট হয় না ভাবসম্প্রসারণ
অর্থ-সম্পদের বিনাশ আছে, কিন্তু জ্ঞান-সম্পদ কখনো বিনষ্ট হয় না -ভাব সম্প্রসারণ(ক্লাস ৬,৭,৮,৯,১০)
অর্থ এবং জ্ঞান দুটিই সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত